একসঙ্গে কোরআনে হাফেজ হলেন ৪ জমজ বোন!

দিমা, দিনা, সুজান ও রাজান—ফিলিস্তিনের চার যমজ বোন। তারা দেখতে প্রায় একই রকম। তাদের বয়স এখন ১৮ বছর। একসঙ্গে যেমন তাদের জন্ম, তেমনি একসঙ্গেই তারা বেড়ে উঠছে। একই শ্রেণিতে পড়ছে।
এমনকি মাধ্যমিক স্কুল পরীক্ষায় চার বোনের স্কোরও সমান। এর চেয়ে বিস্ময়ের কথা হলো, যমজ এই চার বোন একই সঙ্গে কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করেছে।

ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনের জেরুজালেম নগরীর উম্মে তুবা গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে জমজ ৪ বোনের জন্ম। বাবা মুরয়ি আশ-শানিতি (৫৮) মা নাজাহ আশ-শানিতি (৫৪)। গরিব হওয়ার পরও থেমে নেই দিমা-দিনাদের পড়াশোনা। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষায়ও তারা পিছিয়ে থাকতে নারাজ।
সে লক্ষ্যে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। আর ইতিমধ্যে পুরো কুরআন হেফজ সম্পন্ন করেছেন। পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠায় দিমা-দিনা-সুজান ও রাজান যেন একটি মালার ৪টি উজ্জ্বল মুক্তা।
এক সঙ্গে জন্ম, এক সঙ্গে বড় হওয়া, এক সঙ্গে কুরআন মুখস্থ করার সঙ্গে সঙ্গে তারা সবাই গড় নব্বইয়ের ওপরে স্কোর পেয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়। তাদের স্কোর হলো ৯৩.৯, ৯২.১, ৯১.৪ ও ৯১.১।
দিমা-রাজনদের মা নাজাহ আশ-শানিতি জানান, ‘মেয়েরা জেরুজালেমের আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বালিকা বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা শেষ করছেন।
৪ জমজ বোনের মাঝে রয়েছে চমৎকার পারস্পরিক মিল। পড়াশোনায় রয়েছে তাদের গভীর মনোযোগ। আর তাতে সাফল্যও পাচ্ছেন তারা। এ কারণেই তাদের জন্য মা নাজাহ আশ-শানিতি গর্বিত ও আনন্দিত।
নাজাহ আশ-শানিতি আরও বলেন, ‘তার ৪ মেয়েকে দেখতে প্রায় একই রকম মনে হয়। তবে তাদের পৃথক করতে কষ্ট হয় না। কথা শুনলেই তিনি বুঝতে পারেন, কে দিমা, দিনা, রাজন ও সুজন।
শৈশবের স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে নাজাহ আশ-শানিতি বলেন, ‘শিশু থাকা অবস্থায় যখন নাম রাখি এবং দোলনায় চড়াই তখন তাদের পৃথক রাখতে এবং চেনার জন্য ভিন্ন ভিন্ন রঙের সুতা দিয়ে জামায় নকশা করে রাখতাম। এখন আর তা প্রয়োজন পড়ে না। কণ্ঠস্বরই আমাকে প্রত্যেকের পরিচয় বলে দেয়।
করোনা ভাইরাস আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা
গোটা দুনিয়া আজ আতঙ্কের বেলাভূমি। ঘরে-বাইরে সর্বত্র আতঙ্ক। নিরাপত্তা আর সতর্কতার চাদর ভেদ করে আতঙ্কের দানব চষে বেড়াচ্ছে সারা দুনিয়া। চীনের উহান প্রদেশে জন্ম হলেও ভাইরাসটির বিস্তৃৃতি এবং বসবাস এখন বিশ্বব্যাপী।
একের পর এক দেশকে আক্রান্ত করে করোনাভাইরাস শুধু অগ্রসর হচ্ছে। আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। স্থবির হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি দেশের সামগ্রিক জীবনযাত্রা। চীনের পরে আক্রান্ত দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে স্পেন।
চীনের সাথে পৃথিবীর সব দেশের বাণিজ্যিক যোগাযোগ প্রায় বন্ধ। জাতিসঙ্ঘ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছে। পবিত্র কাবার চত্বরে তাওয়াফ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মক্কা-মদিনায় দুই মসজিদে জুমার জামাতে উপস্থিতি সীমিত করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের মসজিদগুলোতে আপাত নামাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বেশ কয়েকটি দেশে মসজিদে জামাতে নামাজ বন্ধ। সেখানে আজানের ভাষা পরিবর্তন করা হয়েছে। ঘরে বসে নামাজ আদায়ের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কানাডার সরকার আপদকালীন বিশেষ ভাতার ঘোষণা দিয়েছে। প্রায় সব ক’টি দেশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। প্রতিদিন নতুন নতুন দেশের নাম এ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার প্রায় অর্ধশত মানুষকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে; কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে সহস্রাধিক মানুষকে। শুরুতে আমাদের দেশের সরকার বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে চায়নি। বরং কোনো কোনো মন্ত্রী এটিকে ‘বিরোধী মহলের অপপ্রচার’ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকা জনগণকে দায়িত্ব সচেতন, সতর্ক ও আস্থাশীল করবে। এর বিপরীত চিত্রই আজ ধরা দিচ্ছে। শুরুতে গুরুত্ব না দিলেও দিনে দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
ইসলাম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি ছড়াতে নিষেধ করেছে। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন ইসলামেরই নির্দেশ। রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘আগে তোমার উট বাঁধো, তার পর আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করো’। মুহাম্মদ সা: নির্দেশ দিয়েছেনÑ ‘মহামারী আক্রান্ত এলাকার লোক যেন অন্য এলাকায় না যায়।
একইভাবে যেখানে মহামারী নেই সেই এলাকার লোক যেন মহামারী আক্রান্ত এলাকায় না যায়’। এ দিকে গোটা দেশ শাটডাউন আতঙ্কে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। লাভবান হচ্ছে অসাধু চক্র। বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়েও যে জাতির নৈতিক মানের কোনো উন্নতির লক্ষণ দেখা যায় না,
বড়ই আফসোস তাদের জন্য। সর্বত্র একটি আলোচনা এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশ^বাসীর জন্য গজব। কিন্তু অন্যায়, অনাচার, মিথ্যা, ছলচাতুরী, ভণ্ডামি, স্বার্থপরতা, মুনাফাখোরী, দুর্নীতি, দুরাচার, অশ্লীলতা, অনৈতিকতা, জুুলুম-নির্যাতন, অপরের ক্ষতি করা, নির্লজ্জতা, গীবত, চোগলখোরি, পরনিন্দা, হিংসাবিদ্বেষ কোনো কিছুই নৈতিকভাবে দুর্বল জাতি পরিত্যাগ করছে না।
মানুষকে আল্লাহ দুনিয়াতে এ জন্য কি পাঠিয়েছেন যে, তারা শুধু অন্যায়-অনাচার করেই যাবে আর আল্লাহ শুধু দেখতেই থাকবেন? ইতিহাস সাক্ষী, আল্লাহ গোটা দুনিয়াকে অথবা কোনো জাতি কিংবা জনপদকে প্রথমে সতর্ক করেন এবং সামান্য বিপদ দেয়ার পর বড় ধরনের ঝাঁকুনি দেন। মহামারী আক্রান্ত জনপদ আজ গোটা বিশ্ব।
সময়ের বিবর্তনে আমাদের নৈতিক মানের উন্নয়নের পরিবর্তে অবনতির পাল্লাই যেন ভারী। আল্লাহ বিভিন্ন জাতিকে প্রথমে অবকাশ দিয়েছেন, সংশোধিত হওয়ার জন্য বারবার সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু জাতিগুলো অন্যায় আচরণই করেছে। ফলে একেকটি জাতিসমূলে ধ্বংস হয়ে গেছে। গোটা পৃথিবী অন্যায়ের ভাগাড়। বিশ্ব চরাচরের যিনি মালিক তার বিধানের প্রতি বিদ্রোহকে ‘আধুনিকতা’ নামে অভিহিত করা হয়।www.com

Comments

Popular posts from this blog

এক মহিলাকে আধা কেজি চাউল দিতে ১৪ জন মানুষ এ কেমন মানবতা

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মা-বাবা, ভাইসহ ৫ জনকে পিটিয়ে জখম

ভোটার স্লিপ যদি ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়, তাহলে সরকারি ত্রাণ পৌঁছাবে না কেন: ক্রিকেটার রুবেল